ধবলধোলাইয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে যেমন প্রত্যাশা অজিদের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে খুব একটা ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নেই প্রতিযোগী দলগুলোর। গত বছরও এই ফরম্যাটে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বেশি খেলা হয়নি। সে কারণে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে লঙ্কানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে তারা সেই প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে।

গতকাল (শুক্রবার) কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে ২৮১ রান তোলে। তাদের পক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন ‍কুশল মেন্ডিস। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। লঙ্কানদের নির্দয় বোলিংয়ে তারা মাত্র ২৪.২ ওভারে ১০৭ রানে গুটিয়ে যায়। যা এশিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ। একইসঙ্গে তাদের বিপক্ষে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ ব্যবধানে (১৭৪ রান) জয়।

Also Read: “যে দলে নেই তার সম্পর্কে কেন কথা বলবেন” – বুমরাহ সম্পর্কে কপিল দেব কী বললেন?

স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে সিরিজটি হেরেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উত্তীর্ণ হতে না পারা শ্রীলঙ্কার কাছে। আবার আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্টটিও হবে এশিয়ান ভূমিতে (পাকিস্তান ও দুবাই)। যদিও আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী স্মিথ। সেক্ষেত্রে দলে থাকা তরুণদেরই পারফর্ম চাইবে অস্ট্রেলিয়া। কারণ ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও মিচেল মার্শ। আচমকা ফরম্যাটটি থেকে অবসর নিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস, আর নাম সরিয়ে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। পাঁচ সিনিয়র তারকাকে হারিয়ে অজিদের এখন ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার মতো অবস্থা!

তবে লঙ্কান সফরে অধিনায়কত্ব করা স্মিথ আশা হারাচ্ছেন না। ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হওয়া দলটি টেস্টে অবশ্য দাপট নিয়েই শেষ করেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে স্মিথ প্রত্যাশা জানিয়েছেন পেস বিভাগে থাকা তরুণ ক্রিকেটার নাথান এলিস, বেন দারউইস ও স্পেন্সার জনসনদের দিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তারা সকলেই নিজেদের স্বতন্ত্র দক্ষতা নিয়ে এসেছে। আমার কাজটা হচ্ছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক সময়ে সঠিক বোলিং অপশন ব্যবহার করা।’

স্মিথ আরও বলেন, ‘তারা নিজেদের কাজটা ভিন্নভাবেই করে। বল ডাউন দ্য লাইনে সুইং করাতে পছন্দ করে দারউইস-জনসনরা। শনের (অ্যাবট) লাইন-লেংথ ভয়াবহ (ভালো), নাথান এলিসও প্রয়োজনমতো বোলিং কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারে।’ এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রয়েছে বেশ ভালো স্পিন অপশন। এ প্রসঙ্গে স্মিথের অভিমত– ‘আমাদের একাধিক ভালো স্পিনার আছে, (অ্যাডাম) জাম্পা এবং তানভীরের (সাঙ্ঘা) ভালো দক্ষতা আছে। এ ছাড়া (গ্লেন) ম্যাক্সওয়েল এবং (ম্যাথু) শর্টের মতো পার্ট-টাইম অপশন ব্যবহারেরও সুযোগ থাকছে।’

Also Read: এক বছরেও ডিপিএলের পারিশ্রমিক পাননি মুনিম

প্রসঙ্গত, ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। যেখানে ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। এ ছাড়া গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচে অজিদের প্রতিপক্ষ ২৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আফগানিস্তান।

Exit mobile version