মুশফিকুর রহিমের নাম বাংলাদেশি ক্রিকেটে একটি পুরো অধ্যায় হতে পারে। তিনি তিন ফরম্যাটেই দেশের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ার। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসকে দুটি অধ্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে – মুশফিকুরের আগে এবং মুশফিকুরের পরে।
দুবাইতে সেই ১৪৪ রান, শচীনের ১০০তম সেঞ্চুরির দিনে মুশফিকুরের ক্যামিও, অথবা ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয়সূচক শট… বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাতি অর্জনকারী মুশফিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের ছাপ রেখে গেছেন।
প্রথমেই তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের কথা বলতে হবে। তিনি ১৮ বছর ২০২ দিন ধরে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফর্ম্যাটের অংশ ছিলেন। তিনি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা খেলোয়াড় হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ক্যারিয়ার ৮ম দীর্ঘতম। শচীন টেন্ডুলকার, জাভেদ মিয়াঁদাদ, সনৎ জয়সুরিয়া, অরবিন্দ ডি সিলভা, ক্রিস গেইল, শন উইলিয়ামস এবং শোয়েব মালিকের ক্যারিয়ার তার চেয়ে দীর্ঘ।
উইকেটরক্ষক মুশফিকুরের নামে ২৯৭টি ডিসমিসাল রয়েছে। ওয়ানডে ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি ডিসমিসাল রয়েছে, এবং মোট মাত্র ৪ জন। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, কুমার সাঙ্গাকারা, মার্ক বাউচার এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি তার উপরে। এই বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক মাত্র ৫ম উইকেটরক্ষক হিসেবে ৩০০টি ডিসমিসালের চেয়ে কম ছিলেন।
মুশফিকুরের নাম আরও দুটি স্থানে ৫ম স্থানে রয়েছে। উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ এবং সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিং উভয় ক্ষেত্রেই মুশফিকুর বিশ্বে ৫ম স্থানে রয়েছেন।
এক মাঠে এক ওয়ানডেতে সর্বাধিক রানের দিক থেকে মুশফিকুর রহিম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক ওয়ানডেতে তিনি ২,৬৮৪ রান করেছেন। তালিকার শীর্ষে আছেন তামিম ইকবাল। মিরপুরে তিনি ২,৮৯৭ রান করেছেন।